উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে রাজশাহীর দুটি উপজেলা পরিষদে নির্বাচন হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়, বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল চারটা পর্যন্ত। দুই উপজেলায় বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া শান্তিপুর্নভাবে ভোট গ্রহণ হয়েছে। ভোট গ্রহণ ও গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা। ফলাফলে দেখা গেছে পবায় ফারুক হোসেন ডাবলু ও মোহনপুরে আফজাল হোসেন বকুল বেসরকারীভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন অফিস সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীর পবা উপজেলায় মোট ৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরমধ্যে ফারুক হোসেন ডাবলু আনারস প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৫৮৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি এমদাদুল হক ঘোড়া প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৫২৯ ভোট। এছাড়াও ওয়াজেদ আলী খান মোটরসাইকেল প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ২২ হাজার ৫২২ ভোট, ডেভিড রিচার্ড মুর্মু হেলিকাপ্টার প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ১হাজার ২৭৫ ভোট, আব্দুর রশিদ দোয়াত-কলম প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ২হাজার ১২৩ ভোট ও সাইফুল বারি কাপ পিরিচ প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ১৭৭ ভোট।
পবা উপজেলায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরমধ্যে ফরিদুল ইসলাম টিউবওয়েল প্রতিক নিয়ে ১৭ হাজার ৩৫৯ ভোট পেয়ে বেসরকারীবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি কামরুজ্জামান টিয়া প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৮৭৬ ভোট।
এছাড়াও আসাদুজ্জামান আসাদ চশমা প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ১৭৯ ভোট, নাজমুল ইসলাম তালা প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৭হাজার ২৬১ ভোট, রফিকুল ইসলাম উড়োহাজাজ প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৬হাজার ৩৪৮ ভোট, শহিদুল ইসলাম বই প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ১০ হাজার ৮৭৫ ভোট সরওয়ার আলম গ্যাস সিলিন্ডার প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ১২ হাজার ৪৯৭ ভোট ও প্রদীপ কুমার সাহা মাইক প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ১১হাজার ১৯৩ ভোট।
এ উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরমধ্যে তরুণ প্রার্থী পপি খাতুন বৈদ্যুতিক পাখা প্রতিক নিয়ে ২৪ হাজার ২৭৯ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি চেন বানু হাঁস প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ২২ হাজার ১৮ ভোট। এছাড়াও হাসিনা খাতুন ফুটবল প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ২১ হাজার ৫৪৫ ভোট ও আরজিয়া বেগম কলস প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ২০ হাজার ১৯৬ ভোট।
মোহনপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরমধ্যে আফজাল হোসেন আনারস প্রতিক নিয়ে ৩১ হাজার ১১৬ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আল মোমিন শাহ কাপ-পিরিচ প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ২৬ হাজার ২৯৭ ভোট। এছাড়াও এনামুল হক ঘোড়া প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৮ হাজার ৩২৭ ভোট, মেহবুব হাসান রাসেল দোয়াত-কলাম প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ৮৫৮ ভোট ও আলমগীর মোরশেদ মোটরসাইকেল প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ১হাজার ৬৫১ ভোট।
এদিকে মোহনপুর উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরমধ্যে হাবিবা বেগম পদ্মাফুল প্রতিক নিয়ে ৪২ হাজার ৯৮৪ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ডলি আক্তার ফুটবল প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৮ হাজার ৩১৪ ভোট। এছাড়াও পলিরানি সেলাই মেশিন প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৩১ ভোট, রাবিয়া খাতুন কলস প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৮৬৪ ভোট ও সানজিদা রহমান প্রজাপতি প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৬ হাজার ৯৯৮ ভোট।
অপরদিকে মোহনপুরে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরমধ্যে বিন বেল্লাহ টিউবওয়েল প্রতিক নিয়ে ৩০ হাজার ৩৫৫ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হাবিবুর রহমান তালা প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ১৯ হাজার ১৭৬ ভোট। এছাড়াও কবির হাসান চশমা প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৬ হাজার ৪৭২ ভোট, আব্দুর রউফ টিয়া প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৩৮ ভোট ও মশিউর রহমান উড়োহাজাজ প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৭৪ ভোট।